• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ Отзыв о Pinup Wager в мае 2024 года Where To Find Iranian Wives অভয়নগরে বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি অভয়নগরে ছাত্র ছাত্রী প্রদর্শনী ক্লাস সবক ও পাগড়ি প্রদান Plinko 2024: Guía para juegos Plinko gratuitos Vietnamese Vs. Thai Mail Order Brides: A Comparative Analysis যশোরের বায়েজীদ হাসান হত্যা মামলার ২ জন পলাতক আসামীকে ঢাকা ভাটারা থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬, যশোর ও র‌্যাব-১ গোপালগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ৬ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি সবুজ’কে পটুয়াখালী হতে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৬ Mostbet App Download For Android Apk And Ios 2023 Mostbet 314 Casino Azərbaycanda Bukmeker Kontoru Mostbet Azerbaycan Yukle Android Os Apk Və Ios App-d Mostbet Az-90 Kazino Azerbaycan ən Yüksək Bukmeyker Rəsmi Sa 0898520760 ফের আগ্রাসনের চেষ্টা করলে ইসরায়েলকে শক্তিশালী জবাবের হুঁশিয়ার ইরানের গাজায় এক গণকবরেই মিলল ৩০০ লাশ ইসরায়েলের গভীরে হামলার দাবি হিজবুল্লাহর

দুর্নীতির অনুসন্ধানে দুদক : কারা অধিদফতরে তোলপাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক : দুর্নীতিতে নিমজ্জিত কারা অধিদফতরের নানা অনিয়ম ও সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। এরই মধ্যে গত দুই দিনে কারা অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন পাঁচ কর্মকর্তাকে সেগুনবাগিচার দুদক কার্যালয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর আগে গত মাসেও কারাগারের তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে শিগগিরই ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হবে।
এদিকে দুই দিনের মাথায় কারা অধিদফতরের পাঁচ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিষয়টি নিয়ে অধিদফতরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছেন। তারা অতীতের মতো সিন্ডিকেট তৈরি করে এই অনুসন্ধান বন্ধ করার জন্য নানাভাবে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
দুদক সচিব মাহাবুব হোসেন জানিয়েছেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কারা কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোনও ব্যক্তি বিশেষের ওপর টার্গেট করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। যার বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যাবে, দুর্নীতি দমন কমিশনের আইন ও বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করা হবে। দুর্নীতির বিষয়ে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হলে, তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দীর্ঘ দিন ধরেই কারা অধিদফতর নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে। কারা প্রশাসনের কেউ দুর্নীতি দমনে শক্ত ব্যবস্থা নিতে চাইলে অধিদফতরের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট নানাভাবে সেই কর্মকর্তাকে হেনস্তা করে। একারণে কারাগারের দুর্নীতি নিয়ে নানা আলোচনা হলেও তা দমনে কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। কিন্তু ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস থেকে কারা কর্মকর্তা সোহেল রানা বিশ্বাসকে নগদ ৪৪লাখ টাকা ও কয়েক কোটি টাকার চেকসহ রেলওয়ে পুলিশ আটকের পর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। আটকের পর সোহেল রানা জানান, অবৈধভাবে উপার্জিত এসব অর্থ তিনি বিভিন্ন কর্মকর্তাকে দেওয়ার জন্য নিয়েছিলেন। পরে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে গত বছরের নভেম্বর চট্টগ্রামের সাবেক জেলার সোহেল রানার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। একই সঙ্গে কারাগারের যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দুদক সূত্র জানায়, সোহেল রানা বিশ্বাসের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই কারা অধিফতরের সাবেক ডিআইজি পার্থ গোপাল বণিকের বাসায় ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই অভিযান চালিয়ে নগদ ৮০লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালক সালাউদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আদালতে চার্জশিট দেওয়ার পর বিচার শেষে চলতি বছলের জানুয়ারি মাসে পার্থ গোপাল বণিককে দুটি ধারায় আট বছরের কারাদ- দিয়েছে আদালত।
দুদক সূত্র জানায়, এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সাবেক ও বর্তমানে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ইকবাল কবীর চৌধুরী, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সাবেক জেল সুপার ও বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে দায়িত্বরত আব্দুল জলিল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগারের জেলার হাবিবুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এছাড়া গত রোববার (৬ মার্চ) খুলনা বিভাগীয় কারা কর্মকর্তা (ডিআইজি প্রিজন) সগীর মিয়া, কাশিমপুর কারাগারের জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন মোল্লা ও মেহেরপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার মোখলেসুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবদ করা হয়। সোমবার (৭ মার্চ) জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কারা অধিদফতরের এআইজি প্রিজন মাইনুদ্দিন ভুঁইয়া ও মৌলভিবাজার কারাগারের জেলার আবু মুসাকে।
দুদক সূত্র জানায়, কারাগারে সিট বাণিজ্য, বন্দি বাণিজ্য, খাবারে অনিয়ম, মাদক কারবার, টাকার বিনিময়ে বন্দিদের বিশেষ সুবিধা, মোবাইল ফোন ব্যবহারসহ বিশেষ ব্যবস্থায় নারীসঙ্গের ব্যবস্থা করে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া কারাগারের ভেতরে টাকার বিনিময়ে কারা হাসপাতালে থাকার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। কারা অধিদফতরের নিয়োগ ও বিভিন্ন কেনাকাটায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া টাকা ছাড়া বন্দিদের সঙ্গে স্বজন ও আইনজীবীদের সাক্ষাৎ মেলে না। কেউ মামলা থেকে জামিন পেলে সেই প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা এবং আরেক মামলায় গ্রেফতার দেখানোর ভয় দেখিয়েও অর্থ আদায় করা হয়।
কারা সূত্র জানায়, কারাগারের উন্নয়নের নামে ব্যাপক দুর্নীতি হয়ে থাকে। এর আগে কারারক্ষী নিয়োগে স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুসন্ধানেও ব্যাপক অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে। এক জেলার প্রার্থী হয়েও অন্য জেলার কোটায় নিয়োগের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পরও প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের কারণে কারও বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ওই সূত্র জানায়, কারাগারের দুই জন ডিআইজি প্রিজনসহ কয়েকজন জেল সুপার ও জেলারের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। কারও বিরুদ্ধে কোনও অনিয়মের অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে গেলেই তারা নানাভাবে তা বানচাল করে দেয়। এই সিন্ডিকেটের একজন কর্মকর্তা বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি মা বলে ডাকেন এবং প্রধানমন্ত্রী তাকে নামে চেনে বলে সহকর্মীদের কাছে বলে বেড়ান তিনি। ওয়ান-ইলেভেনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বিশেষ জেলে বন্দি ছিলেন, ওই কর্মকর্তা তখন সেখানকার দায়িত্বে ছিলেন। এই অজুহাতে ওই কর্মকর্তা বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। এমনকি বিদেশেও তার বাড়িগাড়ি রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
কারা সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুদক যেভাবে কারা কর্মকর্তাদের সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে, ধারাবাহিকভাবে তা করলে কারা অধিফতরের বেশিরভাগ কর্মকর্তার অবৈধভাবে উপার্জিত বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া যাবে। এজন্য বিষয়টি নিয়ে অসাধু কারা কর্মকর্তাদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ যেন দুদক না দেয় সেজন্য তারা নানাভাবে তদবির করছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কারাগারের ভেতরে টাকা দিলে সবকিছু পাওয়ার বিষয়টি ওপেন সিক্রেট। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়া একাধিক অপরাধীর সঙ্গে এই প্রতিবেদকের আলাপকালেও কারা অভ্যন্তরে টাকার বিনিময়ে সব সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। সম্প্রতি গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া বিপ্লব নামে একজন ডাকাত সদস্য জানান, তিনি কারাগারের ভেতরে উন্নতমানের চালের ভাতের ব্যবসা করতেন। এজন্য প্রতি সপ্তাহে দায়িত্বরত কারারক্ষী বা কারাকর্মকর্তাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিতে হতো। এর আগে আলামিন নামে এক জঙ্গি সদস্য গ্রেফতারের পর এই প্রতিবেদকে জানান, তিনি কারাগারের ভেতরে রক্ষী বা কর্মতকর্তাদের অর্থের বিনিময়ে নিয়মিত মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন। ওই মোবাইল ফোন ব্যবহার করেই তিনি বাইরে থাকা সঙ্গীদের দিয়ে নিয়মিত ডাকাতি করাতেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.